September 7, 2024, 5:51 pm

সংসদে হানার জন্য দায়ী মোদি সরকার : রাহুল গান্ধী

Reporter Name

সংসদ অধিবেশন কক্ষে হানার ঘটনায় দায়ী মোদি সরকারই! বিষয়টিতে প্রথমবার মুখ খুলে এমন দাবিই করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। শনিবার রাহুল মন্তব্য করেন, দেশে বিদ্যমান বেকারত্বের জন্যই সংসদে নিরাপত্তা লঙ্ঘনের এই ঘটনা ঘটেছে।

দিল্লি পুলিশ সূত্রে যে তথ্য জানা গেছে, তাতে কংগ্রেস দলের ওয়েনাড় আসনের সাংসদ রাহুলের অভিযোগের পক্ষে সমর্থনই মেলে।

পুলিশের ভাষ্য, সংসদে হানা দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে, বেকারত্ব, মণিপুরের সহিংসতা আর কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই তাঁরা রঙের ক্যানিস্টার নিয়ে সংসদে গিয়েছিলেন।

সংসদে রং বোমা নিয়ে হানা দেওয়ার ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বিরোধী সাংসদরা। তাঁরা এ ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিবৃতি দাবি করেছেন। শনিবার রাহুল বলেন, ‘মোদির নীতির জন্য দেশের মানুষ কাজ পাচ্ছেন না। সংসদে নিরাপত্তা লঙ্ঘনের জন্য দায়ী বেকারত্ব।


রাহুল গান্ধী মুদ্রাস্ফীতিকেও অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেন। সংসদে রং বোমা নিয়ে হানার ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কংগ্রেসসহ বিরোধী দলের সাংসদদের দফায় দফায় বিক্ষোভের জেরে সোমবার পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে লোকসভা এবং রাজ্যসভার অধিবেশন। আগামী ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত সংসদের বর্তমান শীতকালীন অধিবেশন চলার কথা। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের কারো কারো মতে, অমিত শাহের বিবৃতির দাবিতে এবং অধিবেশন থেকে ১৫ বিরোধী সাংসদের সাময়িক বহিষ্কারের জেরে বাকি দিনগুলোতেও সংসদে অশান্তির আশঙ্কা থাকছে।

গত ২৮ মে ঘটা করে নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেপ্টেম্বরে অধিবেশন শুরু হয়েছিল নতুন ভবনে। তার তিন মাসের মধ্যেই নিরাপত্তায় গুরুতর ঘাটতি দেখা গেল সেখানে। বুধবার তিন স্তরের সুরক্ষা বলয় টপকে চার বিক্ষোভকারী রঙিন গ্যাসের ক্যানিস্টার নিয়ে সংসদ ভবনের সংরক্ষিত এলাকায় পৌঁছে যান। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুকে আমরা

স্বদেশে ফিরছে লুণ্ঠিত শিল্প নিদর্শনস্বদেশে ফিরছে লুণ্ঠিত শিল্প নিদর্শন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের বিখ্যাত মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার ১৬টি প্রাচীন শিল্প নিদর্শন ফেরত দেবে। নিদর্শনগুলো প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান বা ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা থেকে অবৈধভাবে নেওয়া হয়েছিল জানার পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেট নামে বেশি পরিচিত মার্কিন জাদুঘরটি। শুক্রবার নিউ ইয়র্কে জাদুঘর কর্তৃপক্ষ এবং ফেডারেল প্রসিকিউটররা শিল্প নিদর্শনগুলো ফিরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন। শিল্পকর্মগুলো জাদুঘরে সরবরাহ করেছিলেন ব্রিটিশ শিল্প ব্যবসায়ী ডগলাস ল্যাচফোর্ড। ২০১৯ সালে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ‘পুরাকীর্তি পাচারের বিশাল নেটওয়ার্ক চালানোর’ দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছিল তাঁকে। প্রসিকিউটররা বলেছেন, মেট জাদুঘর স্বেচ্ছায় নিদর্শনগুলো ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি দপ্তরের গোয়েন্দা ইরিন কিগ্যান শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ডগলাস ল্যাচফোর্ডের ঘটনা তদন্তের সঙ্গে জড়িত শিল্প নিদর্শনগুলো কিভাবে একে একে বেরিয়ে আসছে আজকের ঘোষণায় তা-ই উঠে এসেছে। শিল্পকর্মগুলো বেপরোয়াভাবে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছিল। ’ ১৪টি খেমার ভাস্কর্য কম্বোডিয়া এবং দুটি থাইল্যান্ডে ফেরত পাঠানো হবে। মেটের পরিচালক ম্যাক্স হোলেন আরেকটি পৃথক বিবৃতিতে বলেছেন, তাঁরা কম্বোডিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি অফিসের সঙ্গে বহু বছর ধরে এই নিদর্শনগুলোর বিষয়টি সমাধানের জন্য কাজ করে আসছেন। শিল্প নিদর্শনগুলো খ্রিস্টীয় নবম থেকে ১৪ শ শতকের মধ্যকার। মোটামুটিভাবে প্রাচীন আংকর যুগের। জাদুঘরের দেওয়া তথ্য অনুসারে এগুলোতে বৌদ্ধ এবং হিন্দু উভয় ধর্মের প্রভাব দেখা যায়। তদন্তকারীরা গত দশকে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যজুড়ে ডগলাস ল্যাচফোর্ডের চুরি করা বেশ কিছু প্রাচীন শিল্প নিদর্শন খুঁজে পেয়ে উদ্ধার করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রে আইনি অভিযোগের মুখোমুখি হওয়ার সময় ২০২০ সালে তাঁর মৃত্যু হয়। কম্বোডিয়ায় ১৯৬০-এর দশকের মাঝামাঝি থেকে ১৯৯০-এর দশকের শেষ পর্যন্ত তিন দশকের গৃহযুদ্ধের মধ্যে বেশির ভাগ প্রাচীন নিদর্শন লুণ্ঠিত হয়েছিল। এ সময় বামপন্থী খেমাররুজরা ক্ষমতায় ছিল।স্বদেশে ফিরছে লুণ্ঠিত শিল্প নিদর্শন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের বিখ্যাত মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার ১৬টি প্রাচীন শিল্প নিদর্শন ফেরত দেবে। নিদর্শনগুলো প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান বা ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা থেকে অবৈধভাবে নেওয়া হয়েছিল জানার পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেট নামে বেশি পরিচিত মার্কিন জাদুঘরটি। শুক্রবার নিউ ইয়র্কে জাদুঘর কর্তৃপক্ষ এবং ফেডারেল প্রসিকিউটররা শিল্প নিদর্শনগুলো ফিরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন। শিল্পকর্মগুলো জাদুঘরে সরবরাহ করেছিলেন ব্রিটিশ শিল্প ব্যবসায়ী ডগলাস ল্যাচফোর্ড। ২০১৯ সালে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ‘পুরাকীর্তি পাচারের বিশাল নেটওয়ার্ক চালানোর’ দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছিল তাঁকে। প্রসিকিউটররা বলেছেন, মেট জাদুঘর স্বেচ্ছায় নিদর্শনগুলো ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি দপ্তরের গোয়েন্দা ইরিন কিগ্যান শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ডগলাস ল্যাচফোর্ডের ঘটনা তদন্তের সঙ্গে জড়িত শিল্প নিদর্শনগুলো কিভাবে একে একে বেরিয়ে আসছে আজকের ঘোষণায় তা-ই উঠে এসেছে। শিল্পকর্মগুলো বেপরোয়াভাবে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছিল। ’ ১৪টি খেমার ভাস্কর্য কম্বোডিয়া এবং দুটি থাইল্যান্ডে ফেরত পাঠানো হবে। মেটের পরিচালক ম্যাক্স হোলেন আরেকটি পৃথক বিবৃতিতে বলেছেন, তাঁরা কম্বোডিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি অফিসের সঙ্গে বহু বছর ধরে এই নিদর্শনগুলোর বিষয়টি সমাধানের জন্য কাজ করে আসছেন। শিল্প নিদর্শনগুলো খ্রিস্টীয় নবম থেকে ১৪ শ শতকের মধ্যকার। মোটামুটিভাবে প্রাচীন আংকর যুগের। জাদুঘরের দেওয়া তথ্য অনুসারে এগুলোতে বৌদ্ধ এবং হিন্দু উভয় ধর্মের প্রভাব দেখা যায়। তদন্তকারীরা গত দশকে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যজুড়ে ডগলাস ল্যাচফোর্ডের চুরি করা বেশ কিছু প্রাচীন শিল্প নিদর্শন খুঁজে পেয়ে উদ্ধার করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রে আইনি অভিযোগের মুখোমুখি হওয়ার সময় ২০২০ সালে তাঁর মৃত্যু হয়। কম্বোডিয়ায় ১৯৬০-এর দশকের মাঝামাঝি থেকে ১৯৯০-এর দশকের শেষ পর্যন্ত তিন দশকের গৃহযুদ্ধের মধ্যে বেশির ভাগ প্রাচীন নিদর্শন লুণ্ঠিত হয়েছিল। এ সময় বামপন্থী খেমাররুজরা ক্ষমতায় ছিল।