সংসদ অধিবেশন কক্ষে হানার ঘটনায় দায়ী মোদি সরকারই! বিষয়টিতে প্রথমবার মুখ খুলে এমন দাবিই করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। শনিবার রাহুল মন্তব্য করেন, দেশে বিদ্যমান বেকারত্বের জন্যই সংসদে নিরাপত্তা লঙ্ঘনের এই ঘটনা ঘটেছে।
দিল্লি পুলিশ সূত্রে যে তথ্য জানা গেছে, তাতে কংগ্রেস দলের ওয়েনাড় আসনের সাংসদ রাহুলের অভিযোগের পক্ষে সমর্থনই মেলে।
পুলিশের ভাষ্য, সংসদে হানা দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে, বেকারত্ব, মণিপুরের সহিংসতা আর কৃষক বিক্ষোভ নিয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই তাঁরা রঙের ক্যানিস্টার নিয়ে সংসদে গিয়েছিলেন।
সংসদে রং বোমা নিয়ে হানা দেওয়ার ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বিরোধী সাংসদরা। তাঁরা এ ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিবৃতি দাবি করেছেন। শনিবার রাহুল বলেন, ‘মোদির নীতির জন্য দেশের মানুষ কাজ পাচ্ছেন না। সংসদে নিরাপত্তা লঙ্ঘনের জন্য দায়ী বেকারত্ব।
’
রাহুল গান্ধী মুদ্রাস্ফীতিকেও অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেন। সংসদে রং বোমা নিয়ে হানার ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কংগ্রেসসহ বিরোধী দলের সাংসদদের দফায় দফায় বিক্ষোভের জেরে সোমবার পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে লোকসভা এবং রাজ্যসভার অধিবেশন। আগামী ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত সংসদের বর্তমান শীতকালীন অধিবেশন চলার কথা। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের কারো কারো মতে, অমিত শাহের বিবৃতির দাবিতে এবং অধিবেশন থেকে ১৫ বিরোধী সাংসদের সাময়িক বহিষ্কারের জেরে বাকি দিনগুলোতেও সংসদে অশান্তির আশঙ্কা থাকছে।
গত ২৮ মে ঘটা করে নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেপ্টেম্বরে অধিবেশন শুরু হয়েছিল নতুন ভবনে। তার তিন মাসের মধ্যেই নিরাপত্তায় গুরুতর ঘাটতি দেখা গেল সেখানে। বুধবার তিন স্তরের সুরক্ষা বলয় টপকে চার বিক্ষোভকারী রঙিন গ্যাসের ক্যানিস্টার নিয়ে সংসদ ভবনের সংরক্ষিত এলাকায় পৌঁছে যান। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা