September 7, 2024, 4:38 pm

লালমনিরহাটে এইচ ভি ইউ প্রোগ্রামের বেইজ লাইন রিপোর্ট অবহিত করণ এবং কর্মপরিকল্পনা প্রনয়ন বিষয়ক কর্মশালা।

মো: আতিকুর রহমান রানা

লালমনিরহাটে এইচভিইউ প্রোগ্রামের বেইজলাইন রিপোর্ট অবহিতকরণ এবং কর্ম-পরিকল্পনা প্রণয়ন বিষয়ক কর্মশালা

১১ মার্চ ২০২৪ ইং তারিখ সোমবার সকাল ১০ টায় লালমনিরহাট পৌরসভার হলরুমে ইকো-সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও) এর আয়োজনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালার শুরুতেই উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইএসডিও এর সিনিয়র এপিসি আবু জাফর নূর মোহাম্মদ, ফোকাল পারসন, হেলদি ভিলেজ ইন আরবান প্রোগ্রাম।
উক্ত অনুষ্ঠানে বেজলাইন রিপোর্টি উপস্থাপনা করেন ম্যাক্স হেলদি ভিলেজ ইন আরবান প্রোগামের প্রোগাম ম্যানেজার শাহ রিয়াজুর রহমান এবং সহযোগিতা করেন বাস্তবায়নকারী সংস্থ্যার প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোঃ মাসুদ রানা। এরপরে হেলদি ভিলেজ অ্যাপ্রোচ ও ইন্ডিকেটর বিষয়ক বিস্তারিত আলোচনা করেন ম্যাক্স ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এর কনসালটেন্ট তারেক মাহমুদ।
ম্যাক্স ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের সহযোগীতায় লালমনিরহাট পৌরসভা ও লালমনিরহাট সদর ও আদিতমারী উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নে শিশুর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নশীল এবং স্বাস্থ্য প্রদানকারীদের মনোযোগ বৃদ্ধি, স্বাস্থ্যসেবা, নিরাপদ পানি, উন্নত স্যানিটেশন এবং পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যবিধি, সেইসাথে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা এবং দীর্ঘস্থায়ী উপায়ে সর্বজনীন প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার জন্য বাজার ভিত্তিক সমাধানসহ ৪ বছরের প্রকল্পে বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম বাস্তবায়ন হবে।
কর্মশালায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতিনিধিগণ জানান যে, প্রকল্পের লক্ষ ও উদ্দেশ্যগুলো সরকারের এসডিজি বাস্তবায়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। তাই তাদের দপ্তর এর আওতাধীন সেবাসমূহ প্রদানের মাধ্যমে প্রকল্পের কার্যক্রমকে গতিশীল করার জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের সম্মতি জ্ঞাপন করেন।।

পৌরসভা প্যানেল মেয়র, কাউন্সিলরবৃন্দ, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সচিব এর পাশাপাশি কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ পরিচালক, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, জেলা প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া ম্যাক্স ফাউন্ডেশন হেলদি ভিলেজ ইন আরবান প্রোগ্রামের প্রজেক্ট ম্যানেজার মোঃ শাহ রিয়াজুর রহমান, হেলদি ভিলেজ ইন আরবান প্রোগ্রামের ফোকাল পার্সন আবু জাফর নূর মোহাম্মদ, হেলদি ভিলেজ ইন আরবান প্রোগ্রামের প্রজেক্ট ম্যানেজার মোঃ মাসুদ রানাসহ ইএসডিও- এইচভিইউ প্রোগ্রামের উন্নয়নকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুকে আমরা

স্বদেশে ফিরছে লুণ্ঠিত শিল্প নিদর্শনস্বদেশে ফিরছে লুণ্ঠিত শিল্প নিদর্শন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের বিখ্যাত মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার ১৬টি প্রাচীন শিল্প নিদর্শন ফেরত দেবে। নিদর্শনগুলো প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান বা ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা থেকে অবৈধভাবে নেওয়া হয়েছিল জানার পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেট নামে বেশি পরিচিত মার্কিন জাদুঘরটি। শুক্রবার নিউ ইয়র্কে জাদুঘর কর্তৃপক্ষ এবং ফেডারেল প্রসিকিউটররা শিল্প নিদর্শনগুলো ফিরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন। শিল্পকর্মগুলো জাদুঘরে সরবরাহ করেছিলেন ব্রিটিশ শিল্প ব্যবসায়ী ডগলাস ল্যাচফোর্ড। ২০১৯ সালে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ‘পুরাকীর্তি পাচারের বিশাল নেটওয়ার্ক চালানোর’ দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছিল তাঁকে। প্রসিকিউটররা বলেছেন, মেট জাদুঘর স্বেচ্ছায় নিদর্শনগুলো ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি দপ্তরের গোয়েন্দা ইরিন কিগ্যান শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ডগলাস ল্যাচফোর্ডের ঘটনা তদন্তের সঙ্গে জড়িত শিল্প নিদর্শনগুলো কিভাবে একে একে বেরিয়ে আসছে আজকের ঘোষণায় তা-ই উঠে এসেছে। শিল্পকর্মগুলো বেপরোয়াভাবে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছিল। ’ ১৪টি খেমার ভাস্কর্য কম্বোডিয়া এবং দুটি থাইল্যান্ডে ফেরত পাঠানো হবে। মেটের পরিচালক ম্যাক্স হোলেন আরেকটি পৃথক বিবৃতিতে বলেছেন, তাঁরা কম্বোডিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি অফিসের সঙ্গে বহু বছর ধরে এই নিদর্শনগুলোর বিষয়টি সমাধানের জন্য কাজ করে আসছেন। শিল্প নিদর্শনগুলো খ্রিস্টীয় নবম থেকে ১৪ শ শতকের মধ্যকার। মোটামুটিভাবে প্রাচীন আংকর যুগের। জাদুঘরের দেওয়া তথ্য অনুসারে এগুলোতে বৌদ্ধ এবং হিন্দু উভয় ধর্মের প্রভাব দেখা যায়। তদন্তকারীরা গত দশকে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যজুড়ে ডগলাস ল্যাচফোর্ডের চুরি করা বেশ কিছু প্রাচীন শিল্প নিদর্শন খুঁজে পেয়ে উদ্ধার করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রে আইনি অভিযোগের মুখোমুখি হওয়ার সময় ২০২০ সালে তাঁর মৃত্যু হয়। কম্বোডিয়ায় ১৯৬০-এর দশকের মাঝামাঝি থেকে ১৯৯০-এর দশকের শেষ পর্যন্ত তিন দশকের গৃহযুদ্ধের মধ্যে বেশির ভাগ প্রাচীন নিদর্শন লুণ্ঠিত হয়েছিল। এ সময় বামপন্থী খেমাররুজরা ক্ষমতায় ছিল।স্বদেশে ফিরছে লুণ্ঠিত শিল্প নিদর্শন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের বিখ্যাত মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার ১৬টি প্রাচীন শিল্প নিদর্শন ফেরত দেবে। নিদর্শনগুলো প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান বা ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা থেকে অবৈধভাবে নেওয়া হয়েছিল জানার পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেট নামে বেশি পরিচিত মার্কিন জাদুঘরটি। শুক্রবার নিউ ইয়র্কে জাদুঘর কর্তৃপক্ষ এবং ফেডারেল প্রসিকিউটররা শিল্প নিদর্শনগুলো ফিরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন। শিল্পকর্মগুলো জাদুঘরে সরবরাহ করেছিলেন ব্রিটিশ শিল্প ব্যবসায়ী ডগলাস ল্যাচফোর্ড। ২০১৯ সালে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ‘পুরাকীর্তি পাচারের বিশাল নেটওয়ার্ক চালানোর’ দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছিল তাঁকে। প্রসিকিউটররা বলেছেন, মেট জাদুঘর স্বেচ্ছায় নিদর্শনগুলো ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি দপ্তরের গোয়েন্দা ইরিন কিগ্যান শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ডগলাস ল্যাচফোর্ডের ঘটনা তদন্তের সঙ্গে জড়িত শিল্প নিদর্শনগুলো কিভাবে একে একে বেরিয়ে আসছে আজকের ঘোষণায় তা-ই উঠে এসেছে। শিল্পকর্মগুলো বেপরোয়াভাবে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছিল। ’ ১৪টি খেমার ভাস্কর্য কম্বোডিয়া এবং দুটি থাইল্যান্ডে ফেরত পাঠানো হবে। মেটের পরিচালক ম্যাক্স হোলেন আরেকটি পৃথক বিবৃতিতে বলেছেন, তাঁরা কম্বোডিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি অফিসের সঙ্গে বহু বছর ধরে এই নিদর্শনগুলোর বিষয়টি সমাধানের জন্য কাজ করে আসছেন। শিল্প নিদর্শনগুলো খ্রিস্টীয় নবম থেকে ১৪ শ শতকের মধ্যকার। মোটামুটিভাবে প্রাচীন আংকর যুগের। জাদুঘরের দেওয়া তথ্য অনুসারে এগুলোতে বৌদ্ধ এবং হিন্দু উভয় ধর্মের প্রভাব দেখা যায়। তদন্তকারীরা গত দশকে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যজুড়ে ডগলাস ল্যাচফোর্ডের চুরি করা বেশ কিছু প্রাচীন শিল্প নিদর্শন খুঁজে পেয়ে উদ্ধার করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রে আইনি অভিযোগের মুখোমুখি হওয়ার সময় ২০২০ সালে তাঁর মৃত্যু হয়। কম্বোডিয়ায় ১৯৬০-এর দশকের মাঝামাঝি থেকে ১৯৯০-এর দশকের শেষ পর্যন্ত তিন দশকের গৃহযুদ্ধের মধ্যে বেশির ভাগ প্রাচীন নিদর্শন লুণ্ঠিত হয়েছিল। এ সময় বামপন্থী খেমাররুজরা ক্ষমতায় ছিল।